এবিএনএ : ১৯ এপ্রিল নিউইয়র্কে প্রাইমারি নির্বাচনকে সামনে রেখে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় এক জনসভায় অংশ নিলেন ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স। ওয়াশিংটন স্কয়ার পার্কে অনুষ্ঠিত এই সভায় বিপুলসংখ্যক উৎসাহী স্যান্ডার্স সমর্থক অংশ নেন, যাদের অধিকাংশই ছিল ছাত্র ও তরুণ।
সভায় প্রায় এক ঘণ্টার ভাষণে স্যান্ডার্স তাঁর পরিচিত বিষয়গুলো নতুন করে তুলে ধরেন। তিনি বিশেষভাবে জোর দিয়ে বলেন, এই শহরে তাঁর জন্ম, সে কারণে এই শহর ও রাজ্যের ডেমোক্রেটিক ভোটারদের তাঁকেই ভোট দেওয়া উচিত। আমার মনে হয় ডেমোক্রেটিক এস্টাবলিশমেন্ট মঙ্গলবারের প্রাইমারি নির্বাচনে ভালো রকম ধাক্কা খাবে। যদি বিপুল সংখ্যায় আপনারা ভোট দিতে আসেন, তাহলে আমরা অবশ্যই জিতব।’
অধিকাংশ জনমত গণনায় অবশ্য হিলারি ক্লিনটনের তুলনায় এখনো বেশ পিছিয়ে আছেন স্যান্ডার্স। নিউইয়র্ক ওয়ান ও বারুখ কলেজের নেওয়া সর্বশেষ জরিপ অনুসারে হিলারি ১৩ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন। গত আটটি প্রাইমারিতে স্যান্ডার্স মূলত শ্বেতকায় ও অনূর্ধ্ব-তিরিশ এমন ভোটারদের সমর্থনে জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন। তারপরেও হিলারি মোট ভোট ও ডেলিগেট সংখ্যার হিসাবে অনেক বেশি সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন মুখ্যত আফ্রিকান-আমেরিকান ও হিস্পানিক অভিবাসীদের সমর্থনে। নিউইয়র্কের ডেমোক্রেটিক ভোটারদের উল্লেখযোগ্য অংশ আফ্রিকান-আমেরিকান, যাদের দুই-তৃতীয়াংশই হিলারির পক্ষে।
এই কৃষ্ণকায়দের মধ্যে তাঁর সমর্থনের অভাবের কথা মাথায় রেখে স্যান্ডার্স ভাষণে তাঁদের সমস্যার ওপর বিশেষ নজর দেন। ‘আমরা আফ্রিকান-আমেরিকান ভোটার ভাই-বোনদের কথা মন দিয়ে শুনেছি। তারা প্রশ্ন করছে, কোটি কোটি ডলার খরচ হচ্ছে ইরাক যুদ্ধ সামলাতে, অথচ এই শহরের ভেঙে পড়া অবকাঠামো ঠিক করার জন্য অর্থ জোগাতে পারছি না’, স্যান্ডার্স বলেন। তিনি কম দামে আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপর জোর দেন।
এই সভার পরিবেশটি ছিল উৎসব মুখর। স্যান্ডার্স প্রধান আকর্ষণ হলেও তাঁকে সমর্থন জানাতে বেশ কয়েকজন চলচ্চিত্র ও সংগীত জগতের তারকারা মঞ্চে অবস্থান নেন।
একই দিন আফ্রিকান-আমেরিকান অধ্যুষিত ব্রঙ্কসে একটি জনসভায় অংশ নেন হিলারি ক্লিনটনও।